দেশে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) খাতে ২০১৮ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে বেক্সিমকো এলপিজি। এখন পর্যন্ত নয়টি অটো এলপিজি পাম্প চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। চালুর প্রক্রিয়া চলছে আরো ৪৫টির। এরই ধারাবাহিকতায় এবার এলপিজির বাজার বাড়াতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে কাজ করবে বেক্সিমকো এলপিজি ইউনিট-১ লিমিটেড। এ লক্ষ্যে গতকাল বেলা ৩টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিটিএমসি ভবনে পদ্মা অয়েল কোম্পানির কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ফলে এখন থেকে পদ্মা অয়েলের নিবন্ধিত ফিলিং স্টেশনগুলোয় এলপিজি পাম্প স্থাপন ও অটো এলপিজি বিক্রি করতে পারবে বেক্সিমকো এলপিজি লিমিটেড।
অনুষ্ঠানে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন পদ্মা ওয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মাসুদুর রহমান ও বেক্সিমকো এলপিজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মৃণাল রায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পদ্মা অয়েল কোম্পানির উপমহাব্যবস্থাপক (বিক্রয়) সোহেল আবদুল্লাহ ও ঢাকার উপমহাব্যবস্থাপক নুমান তাপাডার ও বেক্সিমকো এলপিজির চিফ কমার্শিয়াল অফিসার এম মুনতাসির আলম, বিজনেস ডেভেলপমেন্টের প্রধান মিস তাসনুভা চৌধুরী।
অটোগ্যাস বা এলপিজি ইতোমধ্যেই বিশ্বজুড়ে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও প্রশংসিত। এ চুক্তির মাধ্যমে বেক্সিমকো লিমিটেড সারা দেশের অটোমবিলগুলোয় ব্যবহারের জন্য পরিবেশবান্ধব জ্বালানি অটো এলপিজি দ্রুত প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবে।
বর্তমানে পদ্মা অয়েলের ৬৯৫টি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। চুক্তি অনুসারে পদ্মা ওয়েল কোম্পানি প্রতি লিটার এলপিজিতে ৫০ পয়সা রয়্যালটি পাবে, যা বেক্সিমকো এলপিজি কোম্পানি তাদের প্রতিষ্ঠিত অটো এলপিজি পাম্পের মাধ্যমে বিক্রি করবে। বেক্সিমকো এলপিজিকে ২০১৬ সালের শুরুর দিকে অটো এলপিজি স্টেশনগুলোর জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক ৫০০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে বেক্সিমকো এলপিজির সিইও মৃণাল রায় বলেন, স্থান ও ধারণ ক্ষমতার ওপর প্রতিটি পাম্পের বিনিয়োগ নির্ভর করে। বেক্সিমকো এলপিজি সর্বোচ্চ ভালোমানের প্রোপেইন ও বুটেন মিশ্রিত এলপিজি সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এতে জ্বালানিটিতে সঠিক মানের অকটেন থাকে এবং যানবাহনের ইঞ্জিনের কোনো ক্ষতি হয় না। বেক্সিমকো এলপিজি কোম্পানিই বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নিয়ে এসেছে গৃহস্থালিকাজে ব্যবহূত কম্পোজিট ফাইবারগ্লাস সিলিন্ডার।
বেক্সিমকো এলপিজির চিফ কমার্শিয়াল অফিসার এম মুনতাসির আলম জানান, বেক্সিমকো কম্পোজিট সিলিন্ডার বিস্ফোরণরোধী এবং স্বচ্ছ ফাইবারগ্লাস দিয়ে তৈরি হওয়ায় ব্যবহারকারীরা বাইরে থেকেই গ্যাসের স্তর দেখতে পান। এগুলোর ওজন প্রচলিত ইস্পাত সিলিন্ডারের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ কম। যে কারণে ব্যবহারকারীরা সহজেই এ সিলিন্ডার বহন করতে পারবেন।